আজ ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাদ থেকে পড়ে ইন্টারনেট কর্মী নিহত

বিশেষ প্রতিনিধি, মো. সোহেল রানা 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে ইন্টারনেট কানেকশনের কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে এক ইন্টারনেট কর্মী নিহত হয়েছে। নিহত যুবকের নাম প্রীতম (১৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তিনি ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টারনেটের কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের পশ্চিম পাশে নতুন স্থাপিত আনসার ক্যাম্পে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে যায় প্রীতম। আনসার সদস্য রবিউল তাঁকে নিচ তলার কক্ষে রাউটার ও সংযোগের স্থান দেখিয়ে দিয়ে চলে যান। এক পর্যায়ে প্রীতম তার টানানোর জন্য ছাদের সর্বশেষ কোণায় রেলিংয়ের পাশ দিয়ে অতিক্রমের সময় ইট খসে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে তাঁকে গুরুতর আহত ও অচেতন অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ১.৩০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মীর মশাররফ হোসেন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা থেকে তাঁরা হলে ইন্টারনেটের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে রাত ১ টার দিকে মাস্টারনেটের মালিক আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনাদের হলে কাজ করতে গিয়ে আমার একটা ছেলে মারা গেছেন। একটু দেখেন। পরে আমি হলের পেছনে এসে দেখি একজন পড়ে আছেন। প্রথমে মৃত ভেবে কেউ সামনে যায়নি।  পরে ধরে দেখি পালস্ আছে। তাঁর মুখ দিয়ে প্রচুর ফেনা বের হচ্ছিল। পরে আমরা গাড়ি ডেকে তাকে এনাম মেডিকেলে নেওয়ার ব্যবস্থা করি।

আনসার সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, আমি রাত দশটা থেকে প্রকৌশল অফিসে ডিউটি করছি। ১১টার দিকে ইন্টারনেটের লোক আমাকে ফোন দিয়ে বলে, আপনাদের এখানে কাজ করতে আসছি। আমি তাঁকে রাউটার-জিনিসপাতি দিয়ে আবার ডিউটিতে চলে যাই। পরে ছাত্র ভাইদের ও আনসারদের ফোন পেয়ে আবার আসছি।

এ ব্যাপারে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে কোয়ার্টার থেকে বের হই। ছাত্ররা তখন তাঁকে এম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখনই প্রক্টরিয়াল টিম ও নিরাপত্তা কর্মীরা আসেন। প্রাথমিকভাবে ছাদের রেলিংয়ের খসে যাওয়া ইট দেখে ধারণা করছি, তার টানতে গিয়ে তিনি হয়তো পা পিছলে পড়ে মারা গেছেন।

 

 

     এ বিভাগের আরো সংবাদ
Share via
Copy link
Powered by Social Snap